SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

Admission
বাংলা - সাহিত্যপাঠ - শব্দার্থ ও টীকা


মরুৎ - বাতাস ।
গরুড় - পুরাণে বর্ণিত পাখির রাজা ও বিষ্ণুর বাহন।
শ্বাপদ - (কুকুরের মতো পা আছে এমন) হিংস মাংসাশী পশু ।
ব্যাদানি - হা করে। প্রসারিত করে।
লাঙ্গুল - পশুর লেজ। পুচ্ছ।
শ্যেন - একজাতীয় শিকারি পাখি। বাজপাখি।
লগুড় - ছোট লাঠি । গদা।
কে তাহরে উদ্ধারিল? - প্রকৃতি প্রদত্ত বুদ্ধি ও শক্তির সাহায্যে মানুষ নিজেই নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করেছে – এই হচ্ছে কথাটির তাৎপর্য। 
পত্রপুট - পাতা দিয়ে তৈরি পাত্র। পাতার ঠোঙা।
শৈশবে - কবি মানবসভ্যতার তিনটি স্তর নির্দেশ করেছেন। এর প্রথম স্তর হচ্ছেশৈশব। এ সময় মানুষের সামাজিক জীবনের সূচনা হয়। মানুষ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল ও পরস্পরকে সহযোগিতা করতে শেখে ।
ভ্ৰমি - ভ্রমণ করে। বিচরণ করে, বেড়িয়ে।
ধনুর্বেদ - তির নিক্ষেপ কৌশল সংক্রান্ত জ্ঞান বা বিদ্যা। প্রাচীন অস্ত্রবিদ্যা ।
কাষ্ঠে কাষ্ঠে অগ্নি জ্বালি - মানুষ যখন থেকে আগুন জ্বালাতে শিখেছে তখন থেকেই সভ্যতার প্রথম ধাপে পা দিয়েছে।
কে শিখাল...করিতে প্রণাম - প্রকৃতির রহস্য ও বিস্ময়কে কেন্দ্র করে প্রথম ধর্মচেতনার উন্মেষ। এই
আদি ধর্মবিশ্বাস ছিল মূলত প্রাকৃতিক শক্তির আরাধনা (Natural religion)।
বহিত্র - নৌকা। পোত । বৈঠা । দাঁড়।
কুর্দন -  আনন্দে লাফালাফি করা । 
কৈশোরে - মানবসভ্যতার দ্বিতীয় স্তরকে কবি কৈশোর বলে অভিহিত করেছেন। ভারতীয় বৈদিক যুগেরও আদিকালের লক্ষণ এখানে স্পষ্ট । এই স্তবকের নিবিদ, ইন্দ্ৰ, অগ্নি, যজ্ঞভাগ ইত্যাদি শব্দ লক্ষণীয়। এসব শব্দ বৈদিক সাহিত্যেই প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে।
নিবিদ - বৈদিক মন্ত্রবিশেষ । 
ইন্দ্ৰ - হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দেবতাদের রাজা ।
অগ্নি - আগুন। বৈদিক দেবতা বিশেষ ।
বায়ু - বাতাস। অন্তরিক্ষের দেবতা ।
যজ্ঞভাগ - যজ্ঞে যা আহুতি দেওয়া হতো তার এক-এক অংশ এক-এক দেবতার প্রাপ্য বলে বিবেচিত হয়। এটাই যজ্ঞভাগ ।
যৌবনে - মানবসভ্যতার এ পর্যায়ে মানুষের বিদ্যা, বুদ্ধি, সৃষ্টিক্ষমতা ও অবদানের অসাধারণত্ব লক্ষণীয়। কবি চিকিৎসাবিজ্ঞান, সমাজ শাসনব্যবস্থা, সাহিত্য, ইতিহাস, প্রকৌশলবিজ্ঞানের কথা এখানে উল্লেখ করেছেন। তবে বিজ্ঞানের কল্যাণেই মানুষ প্রকৃতির ওপর সার্বিক আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়েছে।
ঋক্‌  - অন্যতম বেদ গ্রন্থ। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মার চার মুখ থেকে চারটি বেদের সৃষ্টি। এগুলো হলো : ঋক্, সাম, যজুঃ, অথর্ব।
যজুঃ - যজুর্বেদ। চতুর্বেদের অন্যতম বেদ। 
চরক - প্রাচীন ভারতবর্ষের চিকিৎসক ঋষি এবং চিকিৎসাশাস্ত্র  আয়ুর্বেদপ্রণেতা।
সুশ্রুত - চিকিৎসাশাস্ত্র আয়ুর্বেদের রচয়িতা জনৈক প্রাচীন ঋষি। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থের নাম ‘সুশ্রুত- সংহিতা'।
সংহিতা - যেখানে কোনো বিষয় সংকলিত বা সংহত করা হয়। যেমন : ঋগ্বেদ-সংহিতা, মনু-সংহিতা। প্রত্যেক বেদের মন্ত্রভাগ কিংবা প্রথম ও প্রধান অংশ ।
পুরাণ - প্রাচীন ইতিবৃত্ত ও কিংবদন্তিমূলক ধর্মশাস্ত্র। যেমন : বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ ইত্যাদি ।
পরিখা - দুর্গ ইত্যাদির চার পাশের গভীর খাত। গড়খাই ।
প্ৰণালী - দুই বৃহৎ জলভাগকে সংযুক্ত করে এমন সংকীর্ণ জলভাগ ।
ব্যোম - আকাশ ।
পঞ্চভূত - প্রাচীন ধারণা অনুসারে জগৎ সৃষ্টির পাঁচটি মূল উপাদান : ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম ।
ভুঞ্জিতে - ভোগ করতে। 
হরি - নারায়ণ। বিষ্ণু । কৃষ্ণ ।
মথুরা - উত্তর প্রদেশের প্রাচীন এ নগরী শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমি এবং হিন্দুদের তীর্থস্থান।
কোশলে - প্রাচীন অযোধ্যা রাজ্যে।
জন্মিলেন হরি মথুরা কোশলে - হিন্দু পুরাণ মতে, মানবসভ্যতার মহিমায় আকৃষ্ট হয়ে স্রষ্টা মানব অবতারের রূপ নিয়ে মথুরায় কৃষ্ণ হয়ে এবং কোশলে রামচন্দ্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রবীণ সমাজ পদে - মানবসভ্যতার প্রৌঢ়ত্ব পর্বে মানুষ এক বিশাল মহিমায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশাল সমাজের শক্তিতে মানুষ অপরিসীম শক্তির অধিকারী হয়েছে। এই স্তবকে কবি তারই গৌরবকীর্তন করেছেন। এই স্তবকে প্রধানত পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষ যেসব শক্তি অর্জন করেছে সেগুলোর উল্লেখ আছে ।
বিবর্ত-বুদ্ধি - মানুষের জ্ঞানশক্তি ক্রমপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ ও বিকশিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ-মোহন - বিদ্যুৎকে বা তড়িৎশক্তিকে যে মুগ্ধ ও বশীভূত করেছে।
বজ্রমুষ্টিধর - বজ্রকে যে হাতের মুঠোয় ধরতে সক্ষম হয়েছে।
নীহারিকা - দূরতম নক্ষত্রপুঞ্জ যা তুষারের মতো দেখায় ।
চরণে ঝটিকাগতি...  দলি নীহারিকা - মানুষের চলার গতি সীমিত। কিন্তু বিজ্ঞানের শক্তিতে মানুষ মহাবিশ্বের নক্ষত্রলোকে যাওয়ার গতি অর্জন করেছে।
তেজসনেত্র - দীপ্তিময় চোখ ।
উদ্দীপ্ত তেজসনে ...সপ্তসূর্য শিখা জ্বলন্ত - মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টির সীমা খুব বেশি নয়। কিন্তু টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মানুষ সূর্যের মতো বিভিন্ন নক্ষত্রও পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা অর্জন করেছে ।
গ্রহে গ্রহে... শুনিছ শ্রবণে - মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্যে মহাজাগতিক ধ্বনি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে
সক্ষম হয়েছে।
দোলে মহাকাল-কোলে ..বুঝিছ স্পৰ্শনে - মানুষ জগতের সৃষ্টি রহস্য উন্মোচনে অণু-পরমাণুর নিত্যগতিশীল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছে।
নমি, হে সাৰ্থক কাম -  মানুষের ইচ্ছা কর্ম ও সৃজনের সাফল্যের জন্য কবি মানুষের বন্দনা করছেন ।
মরদেহে নহ মর - মানুষ মরণশীল । কিন্তু কর্ম অবদানে মানুষ অমরত্বের মহিমা অর্জন করেছে। 
সলাঙ্গুল - লেজসহ ।
লয়ে সলাঙ্গুল দেহ - লেজবিশিষ্ট বানরজাতীয় প্রাণীর বিবর্তিত ও বিকশিত রূপই বর্তমান মানুষ ।
রসাইলে মরু - জলসেচে মরুভূমির মরুময়তা ঘুচিয়ে তাকে উর্বর ও রসযুক্ত করেছে মানুষ।
গড়িলে আপন মূর্তি দেবতা-লাঞ্ছন - মানবসভ্যতার বিকাশের ফলে জ্ঞান, বুদ্ধি, শক্তি ও অবদানের দিক থেকে
মানুষের যে বিশাল মহিমাময় মূর্তি গড়ে উঠেছে তার কাছে দেবতার মহিমা ম্লান ও খাটো হয়ে গেছে।
নরদেব - মানবদেবতা। সর্বমানবের শক্তি ও মহিমার এক প্রতীকীরূপ। 
শল্পভূমি - তৃণক্ষেত্র। কচি ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠ ।
উদগীথ - বেদমন্ত্র । বৈদিক স্তোত্রগান ।
কলকণ্ঠ সমুত্থিত...গগনে পবনে - আকাশে বাতাসে দেবতার মহিমাজ্ঞাপক মন্ত্রের জায়গায় মানুষের মহিমাকীর্তনসূচক নতুন মন্ত্রগীতি অজস্র কণ্ঠে গীত হচ্ছে।
ক্রম-ব্যতিক্রম - নিয়ম ও অনিয়ম।
উদয়-বিলয় - সৃষ্টি ও ধ্বংস।
হৃদয়-স্পন্দন সনে... উদয়-বিলয় - পৃথিবীতে মানুষের ভূমিকা এত ব্যাপক ও অনিবার্য হয়ে উঠেছে যে, নিয়ম ও অনিয়ম, সৃষ্টি ও ধ্বংস সবই মানুষের নিয়ন্ত্রণে চলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
আদ্বিজ-চণ্ডাল - ব্রাহ্মণ থেকে চণ্ডাল পর্যন্ত। সর্বস্তরের মানুষ।
নমি আমি...প্রভু, ক্রীতদাস - সর্বস্তরের সকল মানুষকে কবি বন্দনা করেছেন। এ স্তবকে কবি মানবতার মহিমাকে স্পষ্টভাবে সমুন্নত করেছেন।
কৃষি-তন্ত্রজীবী - কৃষক ও তাঁতি ।
তক্ষক - ছুতোরের কাজ ।
অদ্রি - পর্বত।
 

Content added By